গত ৩০ অক্টোবর ২৪ সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হোমায়োন কবির এর নিকট থেকে ক্রেস্ট ও সাটিফিকেট গ্রহণ করেন, সুগন্ধা নার্সারির স্বত্বাধিকারী মনোয়ারা বেগম।
গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ রোজ শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসক সিলেট কর্তৃক আয়োজিত ১৫ ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা ২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কারের চেক গ্রহণ করেন সুগন্ধা নার্সারীর স্বত্বাধিকারী মনোয়ারা বেগম।
মনোয়ারা বেগম এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন সরকার আমাকে নার্সারি উদ্যোগতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে আমি মনে করি এই পুরস্কার আমার কর্মের ফল পেয়েছি। আমাকে জাতীয় পুরস্কার দিয়ে সরকার আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বাড়িয়ে দিয়ে ছেন।
তিনি ছিলেন গৃহিনি, স্বামীর সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স্বামীর ব্যবসায় খোঁজ খবর নিতেন, স্বামীর সাথে পরামর্শ করে নার্সারিতে সহযোগিতা করেন, এক প্রর্যায় তিনি হযে উঠেন নার্সারী উদ্যোক্তা। বাড়ির উঠানে ছিল স্বল্প পরিসরে নার্সারি হাজার খানিক চারা ছিলো উঠানে, ২০২১০ সালে মনোয়রা বেগম নার্সারির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাড়ির উঠানের ডিঙ্গি পেড়িয়ে ৭/ ৮ বছরের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৩ টি নার্সারী গড়ে তোলেন, হাজারো প্রজাতির লক্ষাধিক ফলজ,বনজ,ঔষধি শুভাবর্ধন করি, বিলুপ্ত প্রায় বৃক্ষ উন্নত মানের সঠিক জাতের চারা কলম রয়েছে সুগন্ধা নার্সারিতে।
নার্সারি উন্নতির পাশা পাশি সংসারের সচ্ছলতা ফিরে আসে। তার ২ সন্তান কে সিলেটের সুনামধন্য স্কুলে লেখা পড়া করান।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি মনোয়ারা বেগম কে । দীর্ঘ ১৩ বছরে মনোয়ারা বেগম এর ২০ থেকে ২৫ শতক জায়গার নার্সারির পরিধি বেড়ে এখন ১৩ বিঘা জমির ওপর তিনটি নার্সারি তৈরি করেছেন,তার নার্সারিতে ১৫টি পরিবারের ১৯ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।
বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
সিলট সুগন্ধা নার্সারিতে রয়েছে, আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, পোয়ারা, মালটা, কমলা, নারকেল, সুপারিসহ দেশি-বিদেশি প্রায় হাজারো প্রজাতির লক্ষাধিক চারা করম আছে। আছে ননি ফল, করসল, বাসক,তুলশি,কাঁটামুকুটসহ প্রায় ৭০/৮০ প্রজাতির ওষুধি গাছ। দুধরাজ, হাড়জোরা মৌচুছি,বুতিজাম খইপাতা,আগড়, স্বর্ণ চাপাসহ প্রায় শতাধিক প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় গাছের চারা রয়েছে সুগন্ধা নার্সারিতে । সব মিলিয়ে প্রায় দের থেকে ২ লক্ষ চারা কলম মজুদ আছে মনোয়ারা বেগমের সুগন্ধা নার্সারিত
নার্সারির শুরু থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলায় প্রথম ও ২য় স্থান ধরে রেখেছেন। তার এ প্রাপ্তিকে কাজে লাগিয়ে আর্থসামাজিক উন্নতির পাশাপাশি বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করতে চান মনোয়ার বেগম।
সুগন্ধা নার্সারির কর্মচারী ছাফারু, শামিম,দেলোয়ার, ইমরান,সুদিব দে, বলেন, তারা ১৩/১৪ বছর ধরে এখানে কাজ করেন এখানকার উপার্জিত টাকা দিয়েই সংসার ও সন্তান দের পড়াশোনা চলে। পাশাপাশি বাবা-মাকে সাহায্য করেন।’ ছাফারুরন বেগম, বিজু বেগম, ছফেদা বেগম, বেগম নামের নারী শ্রমিকরা বলেন, ‘৭ বছর ধরে কাজ করি। যা পাই ভালোই চলে, সংসার চালাই,সন্তান দের লেখা পড়া করাইতে পারি। কাজের চাপও কম।’ বৃক্ষ প্রেমিক গন আসেন, গাছ কেনেন। সব মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছে।’
মনোয়ারা বেগম বলেন প্রতি বছর, স্কুল, কলেজ,মসজিদ, মাদ্রাসায়,রাস্তার ধারে বৃক্ষ রোপন করি। আমাদের এই দেশটাকে আমরাই গড়ব।
সবাই মিলে গাছ লাগাব, গাছের রক্ষায় গাছের যত্ন নিব।গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করতে চাই। সেই সাথে পরিবেশ রক্ষায় নার্সারি গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মানুষের মাঝে বার্তা ছড়াতে চাই।