পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়ি চালক আবেদ আলী পিএসসিতে অনেক প্রভাবশালী ছিল। তার প্রভাব এতোটাই ছিল তাকে বরখাস্ত করার পর চাকরিচ্যুত করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে পিএসসির তৎকালীন দায়িত্বশীলদের।
ড. সাদিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি-সাহিত্যিকদের সংগঠন ‘সংহতি সাহিত্য পরিষদ’র আমন্ত্রণে গত পাঁচ জুলাই যুক্তরাজ্যে গেছেন। তিনি মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যেই থাকবেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে সমকালকে বলেন, পিএসসিতে ২০১৪ সালের তিন নভেম্বর যখন যোগদান করি, তখনই গিয়ে ‘আবেদ আলী-আবেদ আলী’ নাম শুনেছি, কিন্তু তার সঙ্গে দেখা হয়নি কখনও। এবার গণমাধ্যমে তার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি।’
ড. সাদিক বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর পুরাতন সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, পিএসসির অনেক কর্মকর্তারাও তাকে সমীহ করতেন। ২০১৬ সালের ২ মে আমাকে যখন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আমি তখন সাধ্যমত চেষ্টা করেছি পিএসসিতে যাতে কোন আবেদ আলী তৈরি না হয়।’
তিনি জানান, ‘আবেদ আলীকে নানা কুকর্মের জন্য বরখাস্ত করার পর তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, তাদেরকেও শুনেছি অনেক কঠোর হতে হয়েছিল।’
পিএসসির এই সাবেক চেয়ারম্যান জানান, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিল। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন সে বরখাস্ত হয়। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’
তবে পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান এটি এম আহমেদুল হক চৌধুরীর দাবি করেছেন , আবেদ আলী পিএসসি’র গাড়ি চালক থাকলেও তাঁর গাড়ি চালক ছিল না।
ড. সাদিক বলেন, ৩৪তম বিসিএস থেকে ৪০তম ব্যাচের প্রিলি পর্যন্ত সময়কালে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সময়কালে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির সম্মান সমুন্নত রাখা এবং লাখ লাখ প্রার্থীর পিএসসির কাছে প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি।