জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা দক্ষিন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ-বিজিবি সদস্য ও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
ছলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সাথে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় তিনজন ও উপজেলা সদরের চৌমুহনীতে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
চৌমুহনীতে সংঘর্ষে আহত দুজনকে আজ রোববার সন্ধ্যায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তারা হলেন- ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইল গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (২৪) ও পৌর এলাকার ঘোষগাও গ্রামের গৌছ উদ্দিন (৪০)।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে সংঘর্ষের ঘটনায় আরো তিনজন মারা যান।
ঢাকাদক্ষিণে সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- উপজেলার বারকুট গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩), উপজেলার শিলঘাটের সানি আহমদ (১৮) ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের নাজমুল ইসলাম (২২)।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদর্শন সেন তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা কীভাবে মারা গেছেন, সেটি স্পষ্ট করতে পারেননি।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা দক্ষিন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ-বিজিবি সদস্য ও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
নিহত তাজ উদ্দিনের আত্মীয় জাবেদ মাহমুদ জানান, দুপুর ২টার দিকে ঢাকাদক্ষিণ রোডের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তাজ উদ্দিনের গুলি লাগে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনে রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকাদক্ষিণ বাজারে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আহত হন।
এদিকে গোলাপগঞ্জে শহরে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর চৌমুহনী এলাকা আন্দোলনকারীরা দখলে নিয়ে থানায় হামলা চালায়। এ সময় দুজন নিহত হন। আন্দোনকারীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে।
সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি দল পৌঁছেছে।