বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ সময় বিজয় উল্লাস করতে দলে দলে নেমে আসে দেশের সকল পেশার সাধারণ মানুষ। সেই কাতারে আছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে বেদনাও।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবু সাঈদের বাবা বলেন, খুনি সরকারের পদত্যাগে খুব ভালো ভালো লাগছে, আমাদের পরিবারের সবাই খুশি। কিন্তু একটা বেদনা হলো আমি ছেলে হারা বাবা, মানতে কষ্ট হচ্ছে। গতকাল থেকে অনেক মানুষ বাড়িতে ছেলের কবর দেখতে এবং আমাদের দেখতে আসছে।
তিনি আরও বলেন, নিশ্চয় নতুন সরকার আসবে, তখন ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাব। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বাবা মকবুল হোসেনের নয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সন্তান সাঈদ। ভাই-বোনদের মধ্যেই তিনি পড়াশোনায় এগিয়ে ছিলেন। অন্যান্য ভাই-বোনেরা পড়াশোনা বেশি না করার কারণে কৃষি কাজ করেন। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। কেউ কেউ গার্মেন্টেসে কাজ করেন। আবু সাঈদ ছিল বাবা-মায়ের বয়স শেষ সম্বল। পড়াশোনা করে সংসারের কষ্ট লাঘব করবে। বাবা তার ভাইদের বলতেন, দেখিস সাঈদ বড় চাকরি পাবে। আমাদের সম্মান আরও বাড়বে। কিন্তু বাবার সেই আশা আর পূরণ হলো না। পুলিশের গুলিতে বাবার শেষ সম্বলটুকুও আর রইল না।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। পরদিন সোয়া ১০টার দিকে বাবনপুর নালিপাড়া গ্রামে তার বাড়ির পাশে দাফন করা হয়।