বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই সুইডেনে শনাক্ত হলো সংক্রামক রোগ এমপক্স। বৃহস্পতিবার দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানায়। এর মধ্য দিয়ে এবার আফ্রিকা থেকে বের হলো ছোয়াচে রোগ এই এমপক্স। আর এটি এমপক্সের নতুন ধরন বলে জানিয়েছে সুইডেন।
সুইডেনের জনস্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আক্রান্ত হওয়া ওই ব্যক্তি সম্প্রতি আফ্রিকা গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে থেকেছেনও। তবে, কোন দেশে থেকেছেন তা জানানো হয়নি।
আফ্রিকার দেশগুলোতে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্স। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এমপক্সের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। এর আগে ২০২২ সালে এর প্রাদুর্ভাবের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
শুরুতে কঙ্গোতে এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোতে এই ভাইরাসের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এক সময় মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কঙ্গোতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৭০০ জন। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া ও রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, আফ্রিকার ১৩টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এর নতুন ধরনটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেন, ‘আফ্রিকা এবং এর বাইরে দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই উদ্বেগজনক। বুধবার জরুরি কমিটির বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আগে মাঙ্কিপক্স নামেই পরিচিত ছিল এ ভাইরাস। এমপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়ায়। এটি যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেক সময় প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।