ছবি: সংগৃহীত
পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল প্রবল শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হানতে যাচ্ছে। অতি বিপজ্জনক এই সামুদ্রিক ঝড় ক্যারিবীয় উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গেছে। অধিক শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি-৩ থেকে ক্যাটাগরি-৪ ঝড়ে পরিণত হওয়া এই ঝড় ঘিরে ওই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (১ জুলাই) মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দি গার্ডিয়ান। ইতোমধ্যেই এসব দেশে এ-সংক্রান্ত সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
হারিকেন সেন্টারের পরিচালক ডক্টর মাইকেল ব্রেনান জানিয়েছেন, খুব দ্রুত জ্যামাইকার আবহাওয়ার অবনতি ঘটবে। তিনি সাধারণ মানুষকে অন্তত ১২ ঘণ্টা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিচালক ব্রেনান আরও জানিয়েছেন, প্রবল শক্তিশালী এ ঝড়টি জ্যামাইকার দক্ষিণ অংশের পাশ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ওই সময় হারিকেনটির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার।
এ ছাড়া হারিকেনটি জ্যামাইকার স্থলভাগ অতিক্রমের সময় সেখানে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে সতর্কতা দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা থেকেই সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার আরও জানিয়েছে, ঝড়টির প্রভাবে জ্যামাইকায় চার থেকে আট ইঞ্চি (৩০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া এটির কারণে প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসও হতে পারে।
হারিকেন বেরিল জ্যামাইকার দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে আরেক ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ‘ইউনিয়ন আইল্যান্ড’-এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসে। হারিকেনটির আঘাতে পুরো দ্বীপটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দ্বীপের এক বাসিন্দা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাদের এখানে এমন কোনো বাড়ি নেই যেটি বেরিলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তিনি বলেছেন, এই দ্বীপের সব বাসিন্দা এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ঝড়ের ধাক্কায় সবকিছু মাটিতে মিশে গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে হারিকেন বেরিল এখন জ্যামাইকাতেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।