২৩ অক্টোবর, বুধবার অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইন অনুযায়ী ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং নিষিদ্ধ আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ দফা দাবির একটি প্রতিফলন, যেখানে ছাত্রলীগকে আজীবন নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।
### ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার পরেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা জানায়, “ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস” এবং এই নিষেধাজ্ঞা তাদের সংগ্রামকে দমন করতে পারবে না।
### রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে তাদের গর্বের বিষয় হতে পারে, ঠিক যেমন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছিল। তারা মনে করেন, সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে এবং ২০২৪ সালের বিপ্লবের স্পিরিটকে বাধাগ্রস্ত করছে।