পাচার করা অর্থ নিযে যে তথ্য দিলেন কমিশন

বাংলাদেশে টিআইবির প্রধান বলেন, “পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব কি না? উত্তর হচ্ছে, ইট ইজ অ্যাবসলিউটলি পসিবল, কোনো ডাউট নাই। কিন্তু এট দ্য সেইম টাইম যেটা বলতে হবে, ইট ইজ এক্সট্রিমলি ডিফিকাল্ট, নেয়ারলি ইম্পসিবল।

“আমি কিন্তু পসিবল বলছি না, এটা এত ডিফিকাল্ট, যে নেয়ারলি ইম্পসিবল…অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যদি পাচারকৃত অর্থ ১০০ মিলিয়নও ফেরত আসে, দ্যাট উইল বি সারপ্রাইজ। যদি এনি অ্যামাউন্টও ফেরত আসে, আমার জন্য সেটিও হবে সারপ্রাইজ।

কেন এমনটি মনে করছেন, সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আজকেও যদি শুরু হয়, যেহেতু ইতোমধ্যে একটা টাস্কফোর্স হয়েছে, আমি তার ওপর আস্থা নিয়েই বলছি, তারা তাদের কাজটা সুন্দর করুক। ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করুক।

যেসব দেশে অর্থপাচার হয়েছে সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষগুলোর পারস্পরিক আইনি চুক্তি করার পরামর্শ দেন ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, তাদের মাধ্যমে এমন একটা পর্যায়ে যেতে হবে যেখানে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।

এ প্রক্রিয়াও অনেক দীর্ঘসূত্রতার বিষয় উল্লেখ করে তিনি দুদক, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা শাখা বিএফআইইউকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদও দেন।

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের সিংহভাগই বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে হয় বলেও মন্তব্য করেন দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান। এর মধ্যে বাণিজ্যের আড়ালে বছরে কমপক্ষে ৯ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স, এমএফএস ও হুন্ডির মাধ্যমে বাকি অর্থ বিদেশে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্সট্রিমলি কনজারভেটিভ হিসাব করলেও ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার সমালোচনা করেন ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এর বদলে তার বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের মামলা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

হত্যা মামলায় তার সংযোগ প্রমাণ কঠিন হলেও ঋণখেলাপির মামলায় সহজে প্রমাণ সম্ভব বলে মত দিয়ে তিনি সালমানের বাড়িঘর, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করে বিক্রি করে টাকা আদায়ের পরামর্শও দেন তিনি। বলেন, এটার প্রমাণ সহজে করতে পারবেন। এটা করেন ইমিডিয়েটলি।

তিনি বলেন, দেখতে হবে আমরা যে বিদেশ থেকে লোন এনেছি তার কতটুকু কাজে লেগেছে আর কতটুকু কাজে লাগে নাই, কতটুকু যৌক্তিক ছিল? কতটুকু ব্যবহার হয়েছে আর কতটুকু চুরি হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ করান। জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন সংস্থা আঙ্কটাডের মাধ্যমে এই রিভিউয়ের দাবি তোলেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে শত বিলিয়ন ডলারের পাচারের অভিযোগ এনে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, “এটি না হলে আমাদের বৈদেশিক ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাত না।