ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি’র দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় ২৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাতগাছি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জের ধরেই শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা যায়, গ্রামের মানুষ নজির উদ্দিন ভল্টা ও মুকুল হোসেনের সমর্থনে বিভক্ত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের শত্রুতা চলে আসছে। সাতগাছি গ্রামের নজির উদ্দিন সমর্থক কাশেম মোল্লার ছেলের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হচ্ছিল। এতে মুকুল হোসেনের সমর্থক গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম মোল্লা শুক্রবার জুম্মার দিনে গান-বাজনা বাজানো হারাম বলে ফতোয়া দেওয়া দেন।
ফতোয়ায় আবুল কাশেম মোল্লা ক্ষিপ্ত হন। এ সময় মসজিদের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, সরকি, রামদা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এই ঘটনা সূত্র ধরে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ২৫টি বাড়িঘর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়িতে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। থানায় মামলা হয়েছে। দুই পক্ষের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।