ডিউটি শেষে ভোররাতে বাড়ি ফিরছিলেন পুলিশ কনস্টেবল বদিউজ্জামান জনি। হঠাৎ তাকে ঘিরে ফেলেন ছয় যুবক, চেয়ে বসেন মুক্তিপণ। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশের একটি দল ওই কনস্টেবলকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাতে রাজশাহী নগরের টুলটুলি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিম্মি দশা থেকে ওই কনস্টেবলকে মুক্ত করা গেলেও পালিয়ে গেছেন মূলহোতা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সানোয়ার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানায় কর্মরত। অন্যদিকে ঘটনার মূলহোতা মো. মিলন (৩৫) নগরীর হড়গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় থানার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলাটি টাইপ করেছিলেন কনস্টেবল বদিউজ্জামান। সেই ক্ষোভে জনিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে মিলন।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ জানিয়েছে, দেশীয় অস্ত্রের মুখে বদিউজ্জামানকে জিম্মি করে ছয় যুবক। এতে নেতৃত্ব দেওয়া মিলন ওই সময় পুলিশ কনস্টেবলকে শাসিয়ে বলতে থাকেন, গ্রেপ্তারের পর জামিন নিতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা এখন দিতে হবে। তারপর প্রাণহানির ভয়ে কনস্টেবল জনি তার এক বন্ধুকে ফোন করেন। পরে তার ওই বন্ধু বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর জনির বাবা বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানান। প্রায় ২ ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, ‘মিলন সম্প্রতি জেল খেটে জামিনে বের হয়েছে। এরপর থেকেই কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করার জন্য ওৎ পেতে থাকত। ভোর রাতে তাকে একা পেয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে মিলন। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার সানোয়ারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।