বিশ্বনাথে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে জুতা পেঠার দায়ে ২ মাসের সাজা ও ২ শত টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে এক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে। তবে আদালত থেকে জামিন দেওয়ায় কারাগারে যেতে হয়নি উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানকে। এই রায়ে সন্তুষ্ট মামলার বাদী বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিলু মিয়া। অপরদিকে ২ মাসের সাজা ও ২ শত টাকা জরিমানায় দন্ডিত বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।
জানাগেছে, ২০২২ সালে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুবারের চেয়ারম্যান মোঃ
মোঃ লিলু মিয়া সিলেটের ৩নং আমলগ্রহণকারী আদালতে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। জি.আর মামলা নং ৫৫/২০২২ । উক্ত মামলার বাদী আদালতে দায়েরকৃত এজাহারে অভিযোগ করেন যে, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী তার এক সহযোগী জাহাঙ্গীর আলমকে সাথে নিয়ে তাকে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে জুতা পেটা করে আহত করেন এবং তার এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বাদী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতসহ আরো তিনটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে দুটি মামলা খারিজ হয় ও অপরটি থেকে অভিযুক্তরা অব্যাহতি পান। উক্ত জি.আর মামলায় গতকাল সোমবার ৩নং আমলগ্রহণকারী আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুবেল মিয়ার আদালত বাদী-বিবাদী পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ শুনানি শেষে ছিনতাইকৃত অর্থসহ অন্যান্য অভিযোগ থেকে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিলেও কিল-ঘূষিসহ ফুলা জখমের সন্দেহতীতভাবে প্রমাণের কিছুটা নমুনা পাওয়ায় মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক দুবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী ও অপর অভিযুক্ত বিশ্বনাথ উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে দুমাসের কারাদন্ড ও ২(দুই) শত টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এদিকে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সাথে সাথে আপিলের আবেদন করিলে আদালত অভিযুক্ত দুজনকেই জামিন প্রদান করেন।
মামলার বাদী বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিলু মিয়া এ রায়ে সন্তুষ্ট ।অপরদিকে ২ মাসের সাজা ও ২ শত টাকা জরিমানায় দন্ডিত বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। কারণ ইতিমধ্যে একই অভিযোগে বাদী আরো ৩টি মামলা করেছিলেন তার মধ্যে ২টা খারিজ হয়েছে ও একটি থেকে আমরা অব্যাহতি পেয়েছি।