সিলেটের বিশ্বনাথে ‘চুরি, হামলা, ভাঙচুর ও লুট’-এর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ‘চাচা-ভাতিজা’কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (৩ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আমান আলীর পুত্র জামাল উদ্দিন ও তাজ উদ্দিনের পুত্র রাসেল উদ্দিন। এদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-২৮/২০২৫ইং দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
মামলার বাদী হলেন—বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত হাজী তৈমুছ আলীর কন্যা ও গউছ আলীর স্ত্রী মোছাঃ শেফালী বেগম। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন—মৃত আমান আলীর পুত্র তাজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী রত্না বেগম এবং মৃত আফতর আলীর পুত্র সানুর আলী।
বাদীর লিখিত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর বিভিন্ন সময়ে ও পৃথক স্থানে অভিযুক্তরা বাদীর স্বামী গউছ আলীকে মারধর করেন এবং বাদীর পৈত্রিক বাড়ির ভেন্টিলেটর, দরজা ও গেটের তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করেন। তারা বাদীর ভাই তাহির মিয়ার স্ত্রী, ক্যানসার আক্রান্ত রুবিনা বেগমের ৮ ভরি, বোন নিলুফা বেগমের ৮ ভরি এবং কানাডা প্রবাসী বোন ছায়ারুন নেছার ৭ ভরি স্বর্ণালংকার—মোট প্রায় ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যান।
এছাড়াও অভিযুক্তরা বাদীর পৈত্রিক বসতবাড়িতে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও কিছু পুকুরে ফেলে দিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। বাদীর ভাইয়ের মালিকানাধীন জমি থেকেও প্রায় ১০ মন পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যান বলেও বাদী অভিযোগ করেন।