ধোপাজান চলতি নদীতে বাল্কহেডসহ বালু ও পাথর পরিবহনে সব ধরনের নৌযান প্রবেশ বন্ধ এবং অবৈধভাবে বালু—পাথর উত্তোলন বন্ধে নদীর প্রবেশমুখে বাঁশের আড় নির্মাণ করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমার উপস্থিতিতে শতাধিক শ্রমিকদের নিয়ে এই আড় নির্মাণ করা হয়। এসময় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন সহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বালুখেকো সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন ধরে ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু—পাথর উত্তোলন করে সরকারের কোটি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে। একই সাথে নদীর পাড় কেটে বাড়িঘরসহ পরিবেশ ধ্বংস করছে। এসব অপকর্ম হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে জেলা প্রশাসক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া’র নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে বাঁশের আড় নির্মাণের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ ভাবে বালু—পাথর উত্তোলন বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুরমা এবং ধোপাজান নদীর প্রবেশমুখে বাঁশের আড় নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁশের আড় নির্মাণে কেমন সুবিধা হবে জানতে চাইলে ধোপাজান নদী তীরবর্তী এলাকার জিনারপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই নদীর প্রবেশমুখে বাঁধ দেওয়ায় ভালোই হয়েছে। তবে আমাদের এলাকার শ্রমিকেরা নৌকা দিয়ে কিছু কিছু বালু তুলে পরিবার চালায়। তাদের এই ছোট ছোট নৌকা চলার সুযোগ করে দিলে উপকার হতো।
সদরগড় গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, আমরা শ্রমিক। আমরা নদীতে কাজ করে সংসার চালাই। ছোট ছোট নৌকাগুলো বন্ধ করা হলে আমার মতো হাজার হাজার শ্রমিক উপোষ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা নিয়ে সুরমা এবং ধোপাজান নদীর প্রবেশমুখ থেকে সীমান্তের খাসিয়া পাহাড় পর্যন্ত বাল্কহেড সহ বালুবাহী নৌকা যাতে করে প্রবেশ করতে না পারে সেইজন্য বাঁশের স্থাপনা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লাল পতাকা দিয়ে দৃশ্যমান করা হয়েছে। একইসাথে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষজন যাতে করে বুঝতে পারে যে, এই নদীপথে বাল্কহেড সহ বালুবাহী নৌকা চলাচলে নিষেধ রয়েছে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট সহ আমরা নিয়মিতই টহল দেব এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।