সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত বর্তী এলাকায় চোরাচালানবিরোধী যৌথ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই অভিযানে ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একাধিক বিওপি দল সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী জব্দ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ( ২৭ জুন) তামাবিল, সংগ্রাম, দমদমিয়া, বিছনাকান্দি, উৎমা, বাংলাবাজার, সোনালীচেলা, পান্থুমাই, মিনাটিলা ও শ্রীপুর বিওপি সীমান্ত এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালিত হয়।
জব্দ কৃত মালামালের মধ্য রয়েছে ভারতীয় সানগ্লাস, ক্লপ জি ক্রিম, গরু, সুপারি, কম্বল, চকলেট, আইবল ক্যান্ডি, জুস, বিদেশি মদ এবং অবৈধভাবে ব্যবহৃত পাথর উত্তোলনকারী নৌকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া সিলেট ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে তামাবিল-সিলেট মহাসড়কের ফতেপুর, হরিপুর ও রাধানগর, জাফলং এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় কয়েকটি গোডাউনে রাখা ভারতীয় শাড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী ট্রাকে করে পাচারকালে আটক করা হয়।
৪৮ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব অভিযানে জব্দকৃত পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জব্দকৃত মালামালের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ অভিযানের বিষয়ে ৪৮ বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির সিলেট সেক্টরের উপ-মহাপরিচালক ও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিবিএম বলেন,
“সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান এবং গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে। সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও প্রস্তুতির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন,
চোরাচালান দমন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।