ভবন ও আসবাবপত্র সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষা ইবতেদায়ী থেকে উচ্চ শিক্ষা আলিম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাহিরপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত। দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রওএটি। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮৫ সালে। ৭০০ ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক রয়েছেন ২০ জন, কর্মচারীর আছে ৬ জন।
জানা যায়, ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষে২০২০ সালে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ কাজ পায় সুনামগঞ্জের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন। কাজ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুন মাসে একটি পাইলিং কাজ সম্পন্ন করে চলে যায়। তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন কাজটি বাতিল হয়ে গেছে। ঠিকাদার কাজ না করায় সুনামগঞ্জ শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি বাতিল করে দেয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক (ইংরেজী) আশিকুর রহমান বলেন,শিক্ষকদের মিলনায়তন না থাকায় সকল শিক্ষকগণ একসাথে বসতে পারেন না। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানান।
সুনামগঞ্জ শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, ঠিকাদার সময়মত কাজটি সম্পন্ন না করায় কাজটি বাতিল করা হয়েছে।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন কে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারজানা নূরী বর্ষা জানায়, তাদের প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী মিলনায়তন না থাকায় টিফিনের সময় শ্রেণীকক্ষে বসেই সময় কাটাতে হয়। তাছাড়া নামাজের কক্ষ না থাকায় তারা ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারেন না।
তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মুহিব্বুর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় ভবন ও আসবাবপত্র না থাকায় শিক্ষার্থীদের বসার স্থান দেয়া যাচ্ছে না। শিক্ষা কার্যকম ব্যাহত হচ্ছে। ঠিকাদার নতুন ভবন নির্মাণ কাজের একটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে চলে গেছে প্রায় দুই বছর আগে।
শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, পূর্বের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন কাজটি ফেলে চলে গেছে। নতুন সরকার ভবণ নির্মাণ কাজগুলো আপাতত স্থগিত রেখেছে। অনুমতি পেলে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে।