হতশ্রী ব্যাটিংয়ে গেল কয়েক সিরিজ ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অ্যান্টিগায় ব্যাটারদের নিষ্প্রাণ ভূমিকায় ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মিরাজ বাহিনী। আর জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
তাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সামনে ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই। এমন পরিসংখ্যান মাথায় নিয়েই জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে আজ রাতে মুখোমুখি হবে সিরিজের শেষ টেস্টে। অ্যান্টিগার মতো এই মাঠেও লাল সবুজের প্রতিনিধিদের কোনো সুখকর স্মৃতি নেই। স্বাগতিকদের বিপক্ষে লাল বলে স্যাবাইনা পার্কে এর আগে খেলেছে দুটি টেস্ট, ফলাফল ছিল হার।
শুধু তা-ই নয়, উন্ডিজদের মাটিতে গেল ১৫ বছর সাদা পোশাকে জয়ের স্বাদ পায়নি, সবশেষ ২০০৯ সালে জয় পেয়েছিল লাল- সবুজের প্রতিনিধিরা। টেস্ট ফরম্যাটে স্বাগতিকরা বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব বেশি বো শক্তিশালী স্কোয়াড সাজায়নি। ব্যাটিংয়ে আলিক আথানেজ, কাভেম হজ, কেসি কার্টির মতো তরুণ ক্রিকেটার দিয়েই দল সাজানো বোলিংয়েও কিমার রোচ ও আলজারী জোসেফ ছাড়া বেশির ভাগই তরুণ মুখ বেশি। এ দিয়েই বাংলাদেশকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে তারা। যেখানে গেল কয়েক সিরিজ ধরেই বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
ঘরের মাটিতে কিংবা বিদেশে কোনো খানেই লাল বলে খুব সুখকর স্মৃতি নেই গেল কয়েক সিরিজে তাদের। এই ফরম্যাটে তারা সব শেষ দাপট দেখিয়ে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে সেটিও পাঁচ সিরিজ আগে গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।
এছাড়া ঘরের মাটিতে সাদা পোশাকে সবশেষ সিরিজ জিতেছিল ২০২২ সালে সেটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদের নজর জয়েই। মিরাজদের হোয়াইটওয়াশ করেই ছন্দে ফিরতে চান তারা। গেল বৃহস্পতিবার এমনটি জানিয়েছিল উইন্ডিজ দলের সহঅধিনায়ক জশুয়া দা সিলভা। বলেছিলেন, ‘মাঠে ব্যাটার-বোলাররা যে ভীতি জাগাচ্ছে, তা প্রতিপক্ষের চোখেই ফুটে উঠছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো, এই সুবিধাটা কাজে লাগানো এবং আশা করি, এই পথ ধরে সিরিজ জেতা।’ এ সময় দ্বিতীয় ম্যাচের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘১-০ তে এগিয়ে থেকে এখানে আসতে পারা সবসময়ই ভালো অনুভূতি। তবে কাজ শেষ হয়নি। আমরা ২-০ তে শেষ করতে চাই, সিরিজ জিততে চাই।’
এদিকে সবশেষ পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর থেকেই এই ফরম্যাটে ভুগছে বাংলাদেশ। যদিও নজর ছিল এই সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর তবে প্রথম ম্যাটে ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যার্থতায় হেরেছে। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে গেল পরশুদিন থেকেই নেটে শুরু করেছে অনুশীলন। ধারণা করা হচ্ছে এই ম্যাচের ওপেনিং জুটিতে আসতে পারে পরিবর্তন শুধু তাই নয় জয়ে ফিরতে বোলিং লাইনআপেও পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যত যাই হোক টেস্টে টানা দুই সিরিজ ধবলধোলাই হওয়ার পর এই সিরিজে ফলাফল ভিন্ন করতেই নজর থাকবে মিরাজদের।
সেই ভিন্নতা আনতে শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই লাল- সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে তাহলেই সিরিজে আসবে সমতা। আর এই ম্যাচে জয় পেলেই উইন্ডিজের মাটিতে ১৫ বছর ধরে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ মিটবে বাংলাদেশের।