সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে নারিকেলের চারা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি পুনর্বাসন খাত থেকে এই প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং জাতীয় ফল মেলা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চারা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া নারিকেল চাষের উপযোগী হওয়ায় উপজেলায় নারিকেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করবে এবং ফলমূলের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দুই ধরনের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়।
প্রথমত, উপজেলার ৫০টি প্রতিষ্ঠানে — যার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মসজিদ ও মন্দির — প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৫টি করে নারিকেলের চারা বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয়ত, ১৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রত্যেককে ৫টি করে নারিকেলের চারা প্রদান করা হয়। এ প্রণোদনার লক্ষ্য হচ্ছে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নারিকেল চাষকে উৎসাহিত করা এবং স্থানীয়ভাবে নারিকেল উৎপাদন বাড়ানো।
জাতীয় ফল মেলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের দেশীয় ফল প্রদর্শন করা হয়। ইউএনও মেলা পরিদর্শনকালে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের উৎপাদিত ফলমূলের প্রশংসা করেন।
স্থানীয় কৃষকরা এই প্রণোদনা কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারিভাবে এই ধরনের সহায়তা পেলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী হবেন।
উল্লেখ্যঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রণোদনার আওতায় ফলদ বৃক্ষ রোপণের এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জৈন্তাপুরে এই কর্মসূচি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার এক বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।