সিলেটের ঐতিহাসিক জনপদ জৈন্তাপুর উপজেলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেশের স্বাধীনতা, ঈমান-আকীদা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় জমিয়তের দীর্ঘ ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন।
বুধবার (২৫ জুন ) দুপুর ২টা থেকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ দেশের মানুষের ঈমান-আকীদা রক্ষা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জমিয়তের রাজনীতি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “জমিয়তের ইতিহাস ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস পূর্ণতা পায় না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় জমিয়তের রাজনীতির বিকল্প নেই।” এছাড়া তিনি সিলেট-৪ আসনে জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলীর নাম ঘোষণা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মাওলানা মাওলানা কবির আহমদ। ও মুহিব্বুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিলেট জেলা উত্তর জমিয়তের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানিগঞ্জী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দীন খান, কেন্দ্রীয় আমেলা সদস্য মাওলানা আব্দুল জব্বার, সৌদি আরব জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা জাকারিয়া আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, “জমিয়তে ইসলাম মুসলমানদের স্বার্থে আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত থাকে।” জৈন্তাপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই জনপদের মানুষ অতীতে ধোঁকা খেয়েছে। এবার খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে আমরা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জৈন্তা গড়তে চাই। আপনাদের সমর্থন পেলে ইনশাআল্লাহ পরিবর্তন নিশ্চিত।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন: মাওলানা শায়খ হিলাল আহমদ (হরিপুর বাজার মাদরাসা), মাওলানা আবু হানীফ (খরিলহাট মাদরাসা), মুফতি জিল্লুর রহমান কাসেমী (দারুল উলূম হেমু মাদরাসা), মাওলানা ফয়জুল করিম (লাফনাউট মাদরাসা), মাওলানা নুরুল ইসলাম বৌলগ্রামী (গোয়াইনঘাট উপজেলা জমিয়ত), মাওলানা ওলিউর রহমান, মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস, মুফতি জামাল উদ্দিন, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা মাসুম আল মাহদী, মাওলানা জাকির আহমদ (ছাত্র জমিয়ত), মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামীদ, হাফেজ তাজুল ইসলাম, হাফিজ জামাল উদ্দিন ও মাওলানা উবায়দুল্লাহ দরবস্তী প্রমুখ।
এই কর্মী সম্মেলন জমিয়তের সাংগঠনিক শক্তি ও আদর্শিক অবস্থানের একটি শক্তিশালী প্রদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বক্তারা তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জমিয়তের সক্রিয় অংশগ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। নির্বাচনী বার্তায় আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ ফুটে ওঠে।