স্টাফ রির্পোটার, ছাতকঃ ছাতকে ৪ দিনের ব্যবধানে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এবারের এ লাশটি ছিলো বস্তাবন্দি অবস্থায়। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দু’টি অজ্ঞাত ভাসমান লাশ এবং অন্যটি বস্তাপবন্দি অবস্থায়। এ নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা আতংক।
মঙ্গলবার সকালে জিয়াউর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তি বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের মহদী গ্রামের প্রণব দাসের বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। জিয়াউর রহমান একই ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে ডোবায় ফেলে রাখা মুখবাঁধা একটি বস্তা দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তবন্দী অবস্থায় জিয়াউর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। এসময় জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রানু বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করেন। রানু বেগম জানান, তার স্বামী রোববার ঘর থেকে বেড়িয়ে যাওর পর আর বাড়িতে ফেরেননি। লাশ উদ্ধারের সময় সিংচাপইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেল উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ দেখতে পান। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপেনটম্বর পর্যন্ত উপজেলার পৃথক তিনটি স্থান থেকে ৩ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৬ সেপ্টেম্বর শহরের আকিজ প্লাস্টিক কারখানা সংলগ্ন সুরমা নদী থেকে এবং ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দনগর ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন বটেরখাল নদী থেকে পৃথক ২টি অজ্ঞাতনামা ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।