সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার দোয়ারাবাজারে ২ জন, জামালগঞ্জ ও ছাতক উপজেলায় ২ জন বজ্রপাতে এবং বিশ্বম্ভরপুরে ১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০), একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮) বাড়ির পাশের হাওরে মাছ ধরতে যান। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৃথক বজ্রপাতে শরিফ মিয়া (৩৫) নামের আরেক জেলের মৃত্যু হয়।
শরীফ মিয়া উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। বাড়ির পাশে রাতে নয়া হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মতুরকান্দি গ্রাম সংলগ্ন রাতের কোনো এক সময়ে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকালে স্থানীয় গ্রামের লোlকজন ট্রান্সমিটার খুঁটির নিচে সরঞ্জামসহ তার মরদেহ দেখতে পান। তবে, তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
গ্রামের লোকজন ধারণা করছেন রাতের আধারে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটার চুরি করতে এসে তার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রোববার সকালে ছাতক মল্লিকপুর গ্রামের পাশের হাওরে সুন্দর আলী নামের আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্বম্ভরপুরে একজন মারা গেছেন,