বাজার মনিটরিং না থাকায় ছাতকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্গাপূজার সময় সবজি, ফলমূলসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন। বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পূজার ৮-১০ দিন আগে থেকে এবং পূজার সময়ের মধ্যে এসব পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে। শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ক্রেতারা প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়ছেন। কাঁচা বাজার, মাছ-মাংস, ফলমূল ও গ্রোসারি পণ্যের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণহীন দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যার যার ইচ্ছামতো মূল্য নির্ধারণ করে শাকসবজি বিক্রি করছেন, কোনো নিয়ম মানছেন না।
ছাতক শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে নিত্যপণ্যের দামে তারতম্য রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের প্রমাণ। কোনো কোনো সবজির দাম কেজিতে ২০০ টাকারও বেশি। এই অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়বে বলে ক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ সংসার চালাতে চরম সমস্যায় পড়েছেন, এমনকি মধ্যবিত্তরাও বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের দাবি, প্রতি মাসে অন্তত দু’বার সরকারি বাজার মনিটরিং প্রয়োজন।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা খুচরা বিক্রেতা এবং প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ করে বিক্রি করেন। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাপম মোস্তাফা মুন্না জানান, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।