দিরাইয়ে ভুল চিকিৎসায় তিন মাসের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির নাম তৌহিদ হাসান, সে শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিন্নাতপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা সদরসহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়ছে। খবর পেয়ে বুধবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন অনিক, মাকসুদ আহমেদ, সৌরভ মিয়া হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে কর্মীদের জানান, হাসপাতালের চরম অব্যবস্থাপনাই এ ঘটনার জন্য দায়ী। এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।
এদিকে নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, তিন মাসের শিশু তৌহিদ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল আমরা দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করি, তখন তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। দ্বায়িত্বরত নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পরই তৌহিদ জ্ঞান হারায় এবং তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার।
শিশুটির মামা বাবুল মিয়া জানান, চেখের সামনে নার্স তড়িঘড়ি করে ইনজেকশন দেয়ায় আমার ভাগ্নে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
শিশুটির বাবা হোসেন মিয়া, মামা মুন্না আহমেদ জানান, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম এসে বিষয়টি তদন্ত করেন।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতির সমাধান করেছে, তবে থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ হয় নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইয়াসির আরাফাত জানান, শিশুকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে মায়ের আবেগের অভিযোগ মাত্র এটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, ইনজেশন পুশে ভুল করায় শিশুটি হার্ট অ্যাটাক করতে পারে।