সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের ইছাবা নদীর পাড় হতে উক্ত ইউনিয়নের নয়াখেল দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা সাজিদ মিয়া(৭০) বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাজিদ মিয়া উপজেলার ৩নং চারিকাঠা ইউনিয়নের নয়াখেল দক্ষিণ গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালের দিকে ইছাবা নদীর ধারে ঘাস কাটতে যায় স্থানীয় কৃষকেরা। সেখানে গিয়ে তারা গাছের সাথে এক বৃদ্ধের লাশ বাঁধা অবস্থায় দেখে চিৎকার শুর করলে আশপাশের জনতা এগিয়ে এসে দেখে পুলিশ কে খবর দেয়।ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। এ সময় রেইনট্রি গাছের সঙ্গে নিহতের গলায় পেঁচানো একটি চাদর দিয়ে বাঁধা ছিল। মৃতদেহে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্রমতে সাজিদ মিয়া পাঁচ সন্তানের জনক। তিনি পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ চতুল বাজার সিএনজি স্টেশন এলাকায় এই ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। গতকাল সন্ধ্যায় হরাতৈল জলছার বাজারে যান। আজ তার লাশ গাছের সাথে গলায় গামছা প্যাচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এলাকাবাসী দাবী করেন সজিদ মিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে নদীর ধারে ফেলা হয়েছে ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) অলক শর্মা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং নিহতের মরদেহর অধিকতর তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাজিদ আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তে কাজ করছে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ।