কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও বোনাস না দেওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. শরিফুল আবেদীন কমলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে ইউনিসেফের প্রাপ্ত প্রণোদনা, যাতায়াত বিল ভাউচারে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে ড. শরিফুল আবেদীন কমলকে প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।
মঙ্গলবার বিকালে শহরের আলফাত স্কয়ারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সহকারী ফরিদুল ইসলাম, শহীদুল কবীর চৌধুরী, জমিলুল হক, রাকু চৌধুরী, সুলেখা বেগম, জয়শ্রী রায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাজমা বেগম, শিরিনা খাতুন, সামসুল আলম জুয়েল, নাছিমা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। বিগত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত কোভিড—১৯ টিকাদান কর্মসূচির টাকা, ইউনিসেফ কর্তৃক অতিরিক্ত দায়িত্বের টাকা, ভিটামিন ওরিয়েন্টেশনের বকেয়া টাকা চাওয়ার কারণে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল আবেদীন কমল মাসের পর মাস আমাদের বেতন—ভাতা ও ২ জনের শারদীয় দুর্গোৎসবের বোনাস বেআইনিভাবে বন্ধ করে রেখেছেন। ইউনিসেফ কর্তৃক অতিরিক্ত দায়িত্বের টাকা জাল স্বাক্ষর দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। আমরা শরিফুল আবেদীন কমলের দ্রুত অপসারণ চাই।
বক্তারা বলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল আবেদীন কমলকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে আগামীতে জেলাব্যাপী কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।