তাহিরপুরে আমন ধানের ফলন বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ভালো হয়নি। স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর তাহিরপুর উপজেলাতে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নে শতভাগ আমন ধান চাষ করা হয়। অপরদিকে বালিজুড়ি ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে মোট জমির ২০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়।
কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার হাওরের টানি (উঁচু) জমিতেকেয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) প্রতি ৮ থেকে ৯ মণ ধান হয়েছে এবং লামার (নিচের) জমিতে প্রতি কেয়ারে ১৫ থেকে ১৬ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে।
জমিতে ফসল কম হওয়ার বিষয়ে কৃষকরা জানিয়েছেন, জমিতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছিল।কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসে ফোনে যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া পান না।
কৃষকদের সমস্যার কথা শুনে কৃষি কর্মকর্তারা উজানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ ও অফিসের নানাকাজ নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের নামের তালিকা নেওয়া হয়। বিভিন্ন সবজি বীজ দেয়ার জন্য। কিন্তু যে সময় কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়, সে সময়ে বীজ বপনের কাজ শেষ হয়ে যায়।
যেমন বাদাম, ভুট্টা,সরিষা ইত্যাদি বীজ বপনের সময় এখনই। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ দেওয়া হবে পৌষ মাসে। সে সময়ে বীজ পেয়ে কৃষকদের কোন কাজে আসে না।
উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুন নূর বলেন, বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া ও জৈতাপুর গ্রামের সব জমিতেই এবার ফলন কম হয়েছে। কারণ হিসাবে তিনি বললেন,হাওরের জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল, সে সময়ে তারা উপজেলা কৃষি অফিসে বারবার ফোন দিয়েছেন, কিন্তু তাদের ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এলাকাতে আসেন নি।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলামকে কৃষকের হতাশার কথা জানালে, তিনি বললেন,তিনি তাহিরপুরে নতুন যোগদান করেছেন। এলাকাতে খোঁজ নিয়ে পরে জানবেন কেন এমন, তবে এবছর ফসল ভালো হয়েছে বলে অনেক কৃষকই তাকে জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।