ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থানার একটি মামলায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি এবং আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৯(১০)২৪, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই এবং ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গ্রেপ্তারকৃত নেতারা শিলং থেকে কলকাতায় যাওয়ার আগে স্থানীয় থানায় প্রয়োজনীয় রিপোর্ট জমা দেননি, যা তাদের অবস্থানকে বেআইনি করেছে। এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, এটি প্রশাসনিক ত্রুটি এবং কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নয়।
আইনি সহায়তা ও তদন্তের অগ্রগতি
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, স্থানীয় আদালতে ভারতীয় আইনজীবীদের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাদেল বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আশা করি, তারা দ্রুত মুক্তি পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
গুজবের নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সঠিক নয়। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী তওহীদ ফিতরাত হোসেন এই গুজবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই মিথ্যা খবর রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ছড়ানো হয়েছে। যারা মিথ্যাচার করছে, তারা সীমা লঙ্ঘন করছে। আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “নাসির উদ্দিন খান একজন সৎ, ধর্মভীরু এবং সুনামের অধিকারী মানুষ। তাকে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগে জড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক।”
আসল ঘটনা কী?
বিশ্বের যেকোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিদের নিয়মিত স্থানীয় থানায় রিপোর্ট করতে হয়। শিলং থেকে কলকাতায় যাওয়ার আগে শিলং থানাকে অবগত না করায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মামলার ধারা অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে “অবৈধ অনুপ্রবেশ ও রিপোর্টিং ত্রুটির অভিযোগ” আনা হয়েছে।
সতর্ক থাকার আহ্বান
সিলেটের রাজনৈতিক নেতারা ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। নেতারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, “মিথ্যা রটনা দীর্ঘমেয়াদে কারও জন্যই ভালো নয়।”
ভারতে আটক নেতাদের দ্রুত মুক্তির জন্য কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা থেকে সবার উচিত বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।