সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে দুজন এবং পরে হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘের সড়ক এলাকায় সিলেট-তামাবিল সড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরসভার তাতিকোনা মহল্লার বিএনপি নেতা সৈয়দ জুনেদ আলমের ছেলে সৈয়দ মুখছুদ হাসান মহান (১৭), সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খলাবাড়ি গ্রামের আবদুল হাসিমের ছেলে হাফিজুর রশিদ (১৯) ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল আজিজ সায়েম(২০)। এ ঘটনায় মাহি ও তাহমিদ নামের দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট মহানগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ও তাহমিদ কে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান আহতদের নিকটআত্মীয়। স্হানীয় সুত্রে জানাগেছে, সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লার ৪ কিশোর প্রাইভেট কারযোগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শাপলা বিল বেড়াতে আসেন। ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কে বাঘের সড়ক এলাকায় তাদের কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মহান ও তাহমিদ নিহত হন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাফিজুর রশিদ মারা যান।
এদিকে, কারযাত্রী ছাতকের মন্ডোলীভোগস্হ হাসপাতাল রোডের বিশিষ্ট তরুন ব্যবসায়ী হাজি জামিল আহমদের ছেলে মাহি আহমদ গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট মহানগরের আল-হারমাইন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপরদিকে তাতিকোনা মহল্লার বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র সৈয়দ তাহমীদ সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রয়েছে বলে জানান ছাতক পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সাচ্ছা আবেদীন ও আহত তাহমীদের বড় ভাই ইতালি যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাহী। এ বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পরে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেকজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া দু’জনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।