ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকা ইভটিজিং এর শিকার হয়েছেন।
ইভটিজিংয়ের শিকার তাহেরা বেগম স্হানীয় মিলিনিয়াম কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন।
অভিযুক্ত কাপ্তান মিয়া (২৮) উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের আব্দুল বারির পুত্র।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী এক শিক্ষিকাকে স্কুল যাওয়া আসার পথে প্রতিনিয়ত উত্যাক্ত করতো কাপ্তান মিয়া।
বিষয়টি তিনি কিন্ডারগার্টেনে প্রধান শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যদের জানালে কাপ্তান নিয়া সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন তারা।
এরপর সে কিছুদিন নিরব থাকলেও ইদানীং ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে যাওয়ার পথে কাপ্তান মিয়া আবারো তার পথ রোধ করতে চেষ্টা করে এবং নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় তিনি তাকে পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলেন।
অভিযুক্ত কাপ্তান মিয়া তাহেরা বেগমকে শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করেন।
এই সময় ওই শিক্ষিকা চিৎকার দিলে পথচারী ও স্থানীরা এগিয়ে আসলে কাপ্তান মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে শিক্ষিকা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জাউয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক বলেন অভিযুক্ত কাপ্তান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সালিশি বৈঠক ডাকা হলে তিনি আসেন নি।
স্কুল শিক্ষিকা তাহেরা বেগম সন্ত্রাসী কাপ্তান মিয়ার কারণে সম্ভ্রম বাচাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
দেশে থাকা তাহেরা বেগমের মা শাহিনা বেগম বাবা গিয়াস উদ্দিনকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে ইভটিজার কাপ্তান মিয়া।
কাপ্তান মিয়া তাহেরা বেগমকে দেশে আসলে তাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন।
কাপ্তান মিয়া স্বৈরাচারী দোসর আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এই বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবগত।
এই ব্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মখলিছুর রহমান আকন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই অভিযোগ পাইনি।
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।