ছাতক প্রতিনিধিঃ
সাম্প্রতিক বন্যায় ছাতক-আন্ধারীগাঁও-সুনামগঞ্জ সড়কের আন্ধারীগাঁও এলাকায় বিশাল ভাঙ্গনে দু’উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দু’উপজেলার অন্তত ৪টি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক যাতায়াত ব্যবস্থা। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এসব মানুষ অনেকটাই বন্দিদশায় দিনানিপাত করছেন। গত ২০ জুন ছাতক-সুনামগঞ্জ পাকা সড়কের আন্ধারীগাঁও এলাকার একটি বিশাল ঢলের পানির ধাক্কায় ভেসে যায়। বিষয়টি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমলে নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বিকল্প পথ সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ গ্রহন করেন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে ২২ জুন ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করেন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলা কিরণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। এসময় জরুরী ভিত্তিতে বিকল্প পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ১ লাখ, উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যাক্তগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার ও ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। কাজের বেশ অগ্রগতিও ইতিমধ্যে লক্ষ করা গেছে। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ ছাতক-আন্ধারীগাঁও-সুনামগঞ্জ সড়ক মেরামতের জন্য অনেক আগেই একটি টেন্ডার হলেও ঠিকাদারের গাফিলাতির কারনে এখনো পর্যন্ত এ সড়কে কাজ শুরু করা হয়নি। বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করায় ছাতক উপজেলার ছাতক সদর, দোয়ারা উপজেলার দোহালিয়া, মান্নারগাঁও এবং পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদার নিজের কাজের স্বার্থে হলেও এ ভাঙ্গা অংশটুকু মেরামত করা জরুরী বলে স্থানীয়রা মনে করেন। ছাতক থেকে কাটাখালী সড়ক সংস্কারে প্রায় ১০ কোটি টাকার একটি টেন্ডার হয়েছে ক’মাস আগে। মমিনুল হক নামের একজন ঠিকাদার টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রæত সংস্কার কাজ শুরু করলেই সমস্যার সমাধান হতে পারতো। নিজের কাজের স্বার্থেই প্রথমে ভাঙ্গন অংশে মাটি ভরাট করে সড়ক যোগাযোগ সচল করলে সহজেই নির্মান সামগ্রী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করা সম্ভব হতো। কিন্তু ঠিকাদার বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ জানান, সড়কের ভাঙ্গন এলাকা নিয়ে তিনি চিন্তিত। প্রাকৃতিক বৈরী পরিবেশও অনেকাংশে কাজের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে একটি কালভার্টে নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে এখানে। এসব বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এল জি ই ডি সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, সড়ক সংস্কারের টেন্ডার হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে কম সময়ের মধ্যে একটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।