সিলেট সিটি করপোরেশনের পাঁচবারের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগস্থ বাসায় হামলার মামলার বেশিরভাগ আসামী এখনো অধরা। হামলার পর থেকে আসামীরা লাপাত্তা হয়ে আছেন। পুলিশ বলছে আসামীদের ধরতে সিলেট ও সিলেটের বাইরে অভিযান চলছে। কিন্তু গা ঢাকা দেওয়া আসামীদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ২৭ জুন দিবাগত রাতে কাউন্সিলর আজাদের টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগের বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় মিরাপাড়ায় যুবলীগ নেতা শমসের আলীর বাসায়ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর আজাদ ও শমসের আলী শাহপরাণ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় অন্তত ৪০ জনকে আসামী করা হয়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ দুই মামলার ৫ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নগরের টিলাগড় কল্যানপুরের মৃত শেখ মখন মিয়ার ছেলে শেখ নজরুল ইসলাম বিজয় (৩০), শাপলাবাগ ২নং রোডের ৮০ নম্বর বাসার আবদুর রহিম মল্লিকের ছেলে ফুজায়েল মল্লিক (২০), মোহাম্মদপুরের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে রাহেল উদ্দিন রাবেন (৩২), টিলাগড় কল্যানপুরের মান্নান মিয়ার ছেলে তারেক আহমদ (৩১) ও বটেরতলের হারুনুল ইসলাম (২০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামীরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হচ্ছে।
কাউন্সিলর আজাদের পাশে রাজনীতিবীদ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ : কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা তার বাসায় ছুটে যান। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। নেতৃবৃন্দ একজন জনপ্রতিনিধির বাসায় হামলার ঘটনাকে বর্বরোচিত উল্লেখ করে বলেন, হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী ও চোরাচালানী। এদের বিরুদ্ধে অতীতে মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তাই টিলাগড়সহ নগরের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
হামলার ঘটনার খবর পেয়েই কাউন্সিলর আজাদের বাসায় ছুটে যান প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মধ্যে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় গিয়ে যারা সহমর্মিতা জানান তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসরাম শোয়েব, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি এমদাদ হোসেন, সহসভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক শান্ত দেব, সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক ও সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ইকরামুল কবীর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেল, দৈনিক সিলেটের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ওয়াহিদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাবির চৌধুরী জাবু, জেলা ক্লাব সমিতির সভাপতি হাজী মিলাদ।
এছাড়া হামলার পর কাউন্সিলর আজাদের বাসায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান ও সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ছুটে যান।