প্যারিস অলিম্পিকের পর্দা আনুষ্ঠানিকভাবে উঠবে আগামী ২৬ জুলাই। কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসরের ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছে আজ থেকেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ২-২ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
বুধবার (২৪ জুলাই) স্তাদে জেফরয়-গিচার্দ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই আলভারেজের হাতে বল লাগায় পেনাল্টির দাবি জানিয়েছিল মরক্কো। কিন্তু ভিএআর যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত যায় আর্জেন্টিনার পক্ষে। এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয়। প্রথম দিকে অবশ্য আর্জেন্টিনার চেয়ে মরক্কো বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। তবে ম্যাচের ১২ মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মাচেরানোর দল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে যায় মরক্কো। সম্মিলিত আক্রমণে দারুণ এক ব্যাকহিলে ইলিয়াস আখোমাচ খুঁজে নেন এল খানোসকে। বল পেয়ে এই মিডফিল্ডার বাইলাইন থেকে নিচু ক্রস বাড়ান সুফিয়ান রাহিমির উদ্দেশে। কাছাকাছি জায়গা থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন রাহিমি। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির পর গোল শোধ দেওয়ার বিপরীতে উল্টো আরেক গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। এবার মরক্কোকে পেনাল্টি ‘উপহার’ দেন আর্জেন্টিনার গোলে অ্যাসিস্ট করা ডিফেন্ডার জুলিও সোলার। স্পটকিক নিয়ে নিজের জোড়া গোল করতে ভুল করেননি রাহিমি।
৬৮ মিনিটে ব্যবধান কমানো গোলের আগে প্রতিপক্ষের গোলমুখে একটি শটও নিতে পারেনি কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর শিষ্যরা। অন্যদিকে ততক্ষণে আর্জেন্টিনার গোলমুখে চারবার অন টার্গেটে শট নিয়ে ২ গোলের দেখা পায় মরক্কো।
তবে জিউলিয়ানো সিমিওনের গোলে ব্যবধান কমানোর পর আক্রমণভাগে ধার বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ৮২ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার দুর্দান্ত এক সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তারা। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বিশ্বকাপ ও কোপা জয়ী দলের সদস্য হুলিয়ান আলভারেজ। মরক্কোর গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে জড়াতে পারেননি। পরে ১৫ মিনিটের যোগ করা সময়ে গোল শোধের আরেকটি দুর্দান্ত সুযোগ পান ব্রুনো আমিওনে। কিন্তু তার বাঁ পায়ের শট প্রথম গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
২-১ ব্যবধানে যখন জয় উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল মরক্কো ঠিক তখনই নাটকীয় মুহূর্তটার জন্ম। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক একবার প্রতিহত করার পর দুইবার বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে। যেন বল জালেই যেতে চাচ্ছিল না। তবে শেষবার যখন ডি বক্সের ভেতরে বল ফিরে আসে তখন গোলমুখে থাকা মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান মেদিনা জালে জড়াতে আর ভুল করেননি। এমন নাটকীয় গোলের পর আর্জেন্টিনার ডাগআউট বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেই গোল হয় বাতিল। শেষ পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।