স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শেরপুর :
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল এলাকায় ঢলের পানিতে ডুবে ইদ্রিস আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলা ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লা খালি নদী প্লাবিত হয়ে আরও ৫০ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভেঙে এবং নদীর পানি বিপদ সীমার উপড়ে উঠে লোকালয়ে পানি আসা শুরু হলে পানি বন্দী হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গতকাল থেকেই মহারশি নদীতে পানি বাড়ছিলো। গভীর রাত থেকেই বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর পানি ঢুকে প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঝিনাইগাতি সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এছাড়া, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করাই ভোগান্তি পড়েছে হাজারো মানুষ। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ৪ হাজার ২শ হেক্টর আমনের জমি। অপরদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮ ইউনিয়ন নয়াবীল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবের নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নসহ এই আট ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, ঝিনাইগাতীতেই এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির আমন আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার হেক্টর সবজি আবাদ পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, যারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আটকে পড়েছেন তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।