নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের তেবাড়িয়া এলাকায় মারকাজ মসজিদসহ ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ওই সংঘর্ষ চলাকালে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উভয় পক্ষকে ওই এলাকায় আগামী তিন দিন প্রবেশে নিষেধ করে প্রশাসন।
আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে তেবাড়িয়া এলাকায় এক বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে ইজতেমা হয়। ইজতেমার কিছুদিন পর মাওলানা সাদ ও জোবায়েরপন্থি হিসেবে আয়োজকরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হন। সাদপন্থিরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারী শরিয়তুল্লাহর নেতৃত্বে আর জোবায়েরপন্থিরা মাওলানা আবুল কালাম নামে অপর একজনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে সাদপন্থিরা ওই মসজিদ ও ইজতেমার জায়গা দখলে নেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট মাওলানা কালামের অনুসারীরা ওই মসজিদ ও জায়গা দখলে নেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদপন্থিরা ওই জায়গা পুনর্দখলে নিতে গেলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়।
সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি ও যান চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও জানান, আগামী রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উভয় পক্ষর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান। ওই মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।